সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মুখে আতংকের নাম “হ্যাকিং”

বিশ্বে হ্যাকিং একটি আতংকের নাম। এটি প্রযুক্তির একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোপন তথ্য জানতে সাইট হ্যাকের ঘটনা এখন নিয়মিত ঘটছে। অনেক দেশই রয়েছে যারা সাইবার আর্মির সহায়তায় নিজেদের বিভিন্ন সাইট রক্ষা করছে।সারাবিশ্বে চীন, ইন্দোনেশিয়া, লাতিন আমেরিকা এবং পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো এগিয়ে রয়েছে হ্যাকিং জগতে।

কিন্তু সম্প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়ন অনেক বেশি এগিয়ে গেছে।সাইবার বিশেষজ্ঞ ভিতালি কামলুক বলেন, “সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলো হ্যাকিং এ এখন অনেক কার্যকর। তারা অনেক দেশের প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।”কিছু ঘটনায় চীন কোরিয়ার মতো দেশের নাম এলেও এখন সাইবার জগত সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোর দখলে। এসব দেশের হ্যাকাররা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন হ্যাকিং সফটওয়্যার বিক্রি করছে।

বিশ্লেষকরা জানায়, সাড়া বিশ্বের অনেক দেশই এই সফটওয়্যার কিনছে প্রতিনিয়ত। তার মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলো এই কেনাকাটায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তারা এসব সফটওয়্যার কিনে নিচ্ছে।কিছুদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্র সাইবার হামলার জন্য দায়ী পাঁচজনের নাম প্রকাশ করে। এদের মধ্যে দুজনের জন্ম রাশিয়া ও লাটভিয়াতে। এই হ্যাকিং এর মাধ্যমে হ্যাকাররা চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ কোটি ডলার সরিয়ে নেয়।

এই হামলা থেকে নিরাপত্তা সংস্থার সাইটগুলোও রক্ষা পাচ্ছে না।নিজেকে হ্যাকার হিসেবে পরিচিত করতে অথবা শুধু মজা করার জন্য অনেকেই এধরনের কাজ করছে। সোভিয়েতের হ্যাকাররা যে কোন ধরনের নিরাপত্তাকে কোন কিছু মনে করেনা। তাদের কাজের ধরন অন্যদের থেকে অনেক শক্তিশালী। প্রশাসনও তাদের ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে বারবার।সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের ধারনা এখনই এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ না করলে ভবিষ্যতে এটি সুদূরপ্রসারী হবে।